১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক মাস্টারের দাফন সাংবাদিক সোহেল সানি ও রাহাদ সুমনের নানি কোহিনুর বেগমের ইন্তেকাল প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল মানুষ এক ছাতার নিচে বাস করবে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতপাখা বিক্রেতার মৃত্যু মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে।
নিঃসন্তান দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে ৩০০ অতিথি

নিঃসন্তান দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে ৩০০ অতিথি

আজকের ক্রাইম ডেক্স

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামে নিঃসন্তান ওহাব ও লাইলী বেগম দম্পতি আত্মতুষ্টির জন্য ছাগলের খতনা অনুষ্ঠানে তিন শত লোককে দাওয়াত দিয়ে খাইয়েছেন। নিজ বাড়িতে শুক্রবার দিনব্যাপী চলে এই ছাগলের ব্যতিক্রমধর্মী এই খতনা অনুষ্ঠান।

এলাকাবাসী প্রচণ্ড আগ্রহভরে ও আনন্দের সাথে ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিনা উপহারে ভূরিভোজে অংশগ্রহণ করেন। ওহাব ও লাইলী বেগম দম্পতির ব্যতিক্রমধর্মী ছাগলের এই সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ওহাব ও লাইলী দম্পতির তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তানের মুখ দেখেননি। যে কারণে তাদের মধ্যে না পাওয়ার বেদনা হতাশায় রুপ নিয়েছে। সম্প্রতি তাদের পোষা ছাগলের দুটি খাসির বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর তারা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে অনুষ্ঠান করে বাড়িতে আত্নীয় স্বজন ও এলাকাবাসীকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। দিনমজুর ওহাব জানান, আত্মীয়-স্বজনসহ তিনশত লোককে দাওয়াত দিয়ে খাইয়ে মনে অনেক বড় প্রশান্তি অনুভব করছেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী আয়োজক ওহাব আলীর আত্মীয় তানভির হাসান বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। জীবনে কখনো ছাগলের খতনার অনুষ্ঠান দেখিনি এবং কোনোদিন অংশগ্রহণও করেনি। এভাবে খতনা করা ছাগল দুটিকে রঙিন কাপড় পরিয়ে অনুষ্ঠান ছিলো ভিন্নধর্মী।

সবাই খুব আনন্দ পেয়েছেন।
এদিকে ব্যতিক্রমী এমন আয়োজনের ব্যতিক্রমী এ খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার সত্যতা জানতে এবং ছাগলের বাচ্চা দুটোকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019